ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের একটি রাস্তায় জলাবদ্ধতার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী ও পথচারীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগে রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুড়াহাটি ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে যেয়ে এ দৃশ্য দেখা মেলে।
ভুক্তভোগীদের দাবি গত বছর দুই তিন আগে পুড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পেশি শক্তি ব্যবহার করে ঐ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য হুসাইন আলীর ছেলে আবুল কাশেম রিপনের বাড়ির নিচে দিয়ে পাইপ সেট করে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে এলাকার সমস্ত পানি ঐ পাইপ দিয়ে নিষ্কাশন হয এবং পানির শ্রোতে রিপনের বাড়ির আশেপাশের মাটিতে ভাঙ্গন ধরে। এতে রিপনের বাড়ি-ঘর নদীর কবলে ঝুঁকিতে পড়ে এবং মাটি ধুয়ে অন্যত্র চলে যায়।
এর আগে পাইপ স্থাপনের জন্য রিপনরা যাতে বাঁধা দিতে না পারে যে কারণে এলাকার মাস্তান প্রকৃতির মানুষ ডেকে গরু জবাই করে তাদের খাওনো হয়।
এদিকে গত ৫ আগষ্টের পর ক্ষমতাসীনদের পতন হলে রিপন ঐ পাইপের মুখ বন্ধ করে দেয়। এতে পূর্বের ন্যায় ফের জলাবদ্ধতা শুরু হয়ে রাস্তায় পানি জমে। শুধু রাস্তার পানিই নয় পার্শ্ববর্তী শুকুর মোল্লার গোয়াল ঘরের পানি এসে ঐ রাস্তায় জমাট বেঁধে দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষণ করছে। এছাড়াও দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা সহ স্কুল মাঠে খেলতে যাওয়া ছেলেরা পড়েছে বিপাকে।
ভুক্তভোগী রিপনের দাবি, বিজয়পুর গ্রামের মৃত শমসের মোল্লার ছেলে শুকুর মন্ডলের বাড়ি তুলনামূলক নিচে হওয়ায় তাদের বাড়ির পানি বের করতেই সত্রুতা বসত আমার বাড়ীর নিচে দিয়ে পাইপ সেট করে এবং পাইপের মুখ বাড়ির পাশেই রাখা হয়। রিপন আরো বলেন, আমরা বিএনপি-জামাতের সাথে দল করায় ৫ আগষ্টের আগে এই শুকুর মোল্লারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে এসেছে। এভাবে পাইপ সেট করলে আমাদের ক্ষতি হবে জেনেও শুকুর মোল্লা ক্ষমতার জোরে তা করেছে। এটি আমাদের প্রতি করা সেসময়ের নির্যাতনের ধারাবাহিকতারই একটি অংশ। তিনি রাস্তার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে এলাকার মানুষের যাতায়াতের পরিবেশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু নিরসন চান।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শুকুর মোল্লা জানান, রিপন পাইপের মুখ বন্ধ করায় রাস্তায় পানি জমেছে। তিনি বলেন, পাইপের মুখ ছেড়ে দিলেই এখানে আর পানি জমবে না। পাইপের মুখ কেন বন্ধ করা হয়েছে, এতে কি রিপনের কোন ক্ষতি হচ্ছিল জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
