মহেশপুরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন; উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে তরিকুল নামের এক ব্যবসায়ী। উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের বারোমাসে ব্রীজ এলাকায় বলুহর বাওড় থেকে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার বালু মজুদ করা হয়েছে। ৪ মাস ধরে প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ এই চক্রটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোটচাদপুর উপজেলার শেষ এবং মহেশপুর উপজেলা শুরু, বারোমাসে ব্রীজ সংলগ্ন বলুহর বাওড় থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। বাওড় বাদে এ অবৈধ বালু উত্তোলনের হোতা মেশিনগুলোর মালিক তরিকুল ঐ এলাকার পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছে। কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর প্রধান সড়কের মধ্যবর্তী এলাকায় সরকারি সড়কের পাশে এশিয়ার বৃহত্তম বলুহর বাওড় রয়েছে। এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে সরকারি সড়ক ও বলুহর বাওড়।

এলাকাবাসির পক্ষ থেকে নিষেধ করলেও তারা মানছেন না। কার পারমিশনে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বালু উত্তোলনের মূল হোতা তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কোটচাঁদপুর এবং মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পারমিশন নিয়ে তারা এ কাজটি করছেন।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, বাওড় থেকে অবৈধভাবে ভাবে বালু উত্তোলনের কোন ধরনের ব্যবস্থা নেইনি প্রশাসন। প্রায় দুই মাস আগে অভিযান পরিচালনা করলেও আর কোন অভিযান পরিচালনা হয়নি বলেও জানান তারা।

তবে এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি এসিল্যান্ডকে জানাচ্ছি উনি ব্যবস্থা নিবেন। পরবর্তীতে বলুহর বাওড় সংলগ্ন বালু উত্তোলনের ঘাঁটিতে উপস্থিত হন এ্যাসিল্যান্ড অফিসের লোকজন এবং সীমানা জটিলতার কারণে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি মুঠোফোনে কথা না বলে ফোন কেটে দেন।

বালু উত্তোলনের বিষয়ে এসবিকে ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আরিফ মিয়া জানান, বালু উত্তোলনের মূল হোতা তরিকুল প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে পাত্তা দেননা, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তোলা হলে তিনি জানান, আমি বালি উত্তোলন করছি তাতে আপনার কি? আপনার যদি কথা বলতেই হয় তবে ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলেন। ইউএনও সব জানেন। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই কাজ করছি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top