মিতু হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও এসপি বাবুল আক্তারের মুক্তির দাবিতে শৈলকুপায় মানববন্ধন

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি, সোনার চালান ধরায় কাল হয়েছে বললেন বাবুল আক্তারের বাবা, চাইলেন ন্যায় বিচার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিজ এলাকা ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী । ১২ সেপ্টেম্বর বিকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় হাটফাজিলপুর বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি এতে বাবুল আক্তারের বাবা সহ স্বজনেরা যোগ দেয়। তারা মানববন্ধন থেকে দাবি করেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি পিবিআই হেফাজতে বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়েছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কে। একই সাথে বাবুল আক্তার কে সৎ-সাহসীও দেশপ্রেমিক উল্লেখ করে চাকুরীতে পূনর্বহালের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন থেকে বলা হয়েছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কে স্ত্রী হত্যার সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে শৈলকুপার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস, শামীম আহমেদ, ইখতিয়ার হোসেন, বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ সহ শিক্ষক, রাজনীতিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয় । প্লাকার্ড হাতে মানববন্ধনে স্থানীয় নারীরাও যোগ দেয়।
মানববন্ধনে বাবুল আক্তারের বাবা বলেন, ২০১৬ সালের ২৫জানুয়ারী চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেক থেকে একটি স্বর্ণের চালান আটকে দেয়ায় তার জীবনে কাল হয়ে দেখা দেয়। এর পর থেকে তৎকালীন সিএমপির উপ-কমিশনার সহ কতিপয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে। দুই দফা তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন ৫বছর কিছু হলো না কিন্তু যখনই মামলা টি পিবিআই কে দেয়া হয় তখনই তাকে ফাঁসানো হয়। সার্স ওয়ারেন্ট ছাড়া কেন তাকে সার্স করা হলো এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন আজ ( ১২ সেপ্টেম্বর) আরেকটি মামলা দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত সহ ন্যায় বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top