ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার শেখপাড়া বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় বক্তরা বলেন, তৎকালীন সময়ে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের রতন হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে এমন একাধিক ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন ভাবেই জড়িত নয়।
বক্তারা দাবি করে বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই তারা এ মামলায় নির্দোষ ব্যাক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।
জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ঝড়ে গাছের ডাল পড়াকে কেন্দ্র করে বসন্তপুর গ্রামের রায়হান মন্ডলের ছেলে রতন মন্ডল হত্যার স্বীকার হয়। এঘটনায় ২৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার।
মামলার পর অভিযোগ ওঠে নিহতের পরিবার আওয়ামী পন্থী হওয়ায় এলাকার আওয়ামী বিরোধীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে । যার মধ্যে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামকে ২৬ নং আসামী করা হয়।
ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বিভিন্নভাবে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে হুমকি দাতাদের কাছে তিনি নিজেকে অনিরাপদ বলে মনে করছেন। যে কারণে তার পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীদের উদ্যোগে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, রতন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। ঘটনার দিন আমি গ্রামের মসজিদের তৎকালীন ইমাম হাবিবুল্লাহ তাওহীদি সাহেবের কাছে তার রুমে ছিলাম। অথচ আমার নামে রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়। এছড়াও আমার বাড়িঘরে লুটপাট ও গাছপালা কর্তন করা হয়।
তিনি আরোও জানান, সেসময় আমাকে মামলা থেকে বাঁচতে ছাত্রদলের রাজনীতি বাদ দিতে বলা হয়। আমি এতে রাজী না হওয়ায় আমাকে এভাবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ইন্ধনদাতা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী তৈয়ব মন্ডল, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রিপন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। আমি এঘটনার তিব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি।
মানববন্ধনে বসন্তপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিতি ছিলেন।