সরকার চাইলে শেখ মুজিবের করা কালো আইনেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ধ্বংসকারী শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন,
আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট একটি দল। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জুলাই বিপ্লবে তারা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে ও ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে । এর জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগই দায়ী। ফলে শেখ মুজিবের করা কালো আইনে সরকার চাইলে দলটি নিষিদ্ধ করতে পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। সাড়ে চার হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। ১৭ বছরে ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবী মামলা করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে।দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই ইনশাল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের নতুন বাজারে বণিক সমিতির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শৈলকুপা বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আস্ফালন করুক দেশের সংবিধান ও আইনের হাত অনেক লম্বা। আর তাদের বিচার করার জন্যই এখনো লক্ষ কোটি জনতা রাজপথে আছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে গুম, হত্যা ও খুনের বিচার হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে একটি মানুষও গুম হয়নি। কোন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবী মামলা করেনি।

অ্যটর্নি জেনারেল বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি, জামাতসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে তাদেরকে গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে। এইসব বিবেচনায় আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার করা না গেলে শহীদ মুগ্ধ ওয়াসিম ও শিশু আনাসের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বিচার করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ের কথা ভাবছে সরকার। সেই আইনে জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছে তাদের খুনীদের বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্ক মুক্ত করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ চেম্বারের সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, শৈলকুপা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষ নিয়ন্ত্রক ড. ওয়ালিদ হাসান পিকুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আসিফ ইকবাল মাখন, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যডভোকেট হুমায়ূন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, বণিক সমিতির জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক হারুনুর রশিদ হেলাল, সাইদুজ্জামান সাঈদ প্রমূখ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top