হরিণাকুণ্ডুতে ইটভাটার মাটি পড়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের বেহাল দশা 

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে-

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পাকা সড়কে ইটভাটায় ব্যবহৃত ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে তা বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা। কাদার কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা,হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো যানবাহন পিছলে সড়ক থেকে নিচে নেমে যেতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু প্রধান সড়কের পার মথুরামপুর থেকে শাখারিদহ বাজারের প্রায় ছয় কিলোমিটার,সড়াতলা থেকে মানদীয়া বাজার, আমতলা হয়ে চাঁদপুর ইউনিয়নের জিন্দার মোড় পর্যন্ত সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে। এই কাদার কারণে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হওয়াসহ পথচারীরা খালি পায়েও সড়কে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষত দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরাও।
দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ফসলী জমির মাটি কেটে কতিপয় ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর, লাটাহাম্বা, ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলের কারনে এই কাদার সৃষ্টি হয়েছে। ইটভাটার ট্রাক্টরের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল।এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। যারফলে চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও বেড়েছে দুর্ভোগ।

মোটরসাইকেল আরোহী হরিণাকুণ্ডু ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রুবেল রানা বলেন, ইট ভাটা ও জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করে ট্রাক্টরে করে মাটিবহনের সময় রাস্তায় পড়ে যায়। সেই মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়।যা দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে এটা পাকা রাস্তা। এতে সড়ক গুলোতে চলাচল করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

রাস্তায় চলাচল করা মটরসাইকেল আরোহী আমর বীন মারুফ জানান, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকিয়ে ধুলা আর বর্ষায় কাদা হয়ে থাকে। দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা।এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান, আমি ইট ভাটার কর্তৃপক্ষের তাগিদ দিয়েছি। তারা দ্রুতই সড়কের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top