ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায়টি ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল (২), আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।
এদিকে নিহতের স্বামী আরব আলী আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে বেশি খুশি হতেন বলে সংবাদ কর্মীদের জানান। তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও তার স্ত্রীর নৃশংস এই হত্যাকান্ডের বিচার পেয়ে তিনি খুশি।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানিয়েছেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত এবং পলাতক দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।