অনলাইন ডেস্কঃ
ঝিনাইদহ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধ্যে তার এক নারী সহকর্মীর সাথে আপত্তিকর কার্যক্রমের অভিযোগ এনে শহরজুড়ে চাঞ্চল্যকর আলোচনা সমালোচনা দেখা দিয়েছে। এঘটনায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি ছাড়া পেয়েছেন বলেও আলোচনাই রয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শহরের চাঁন্দা সিনেমা হল এলাকায় ঐ নারী কর্মকর্তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঐ নারী সহকর্মীর সাথে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদের অনেক আগে থেকেই সন্দেহজনক সম্পর্ক চোখে পড়ে অন্যান্য সহকর্মীদের। তবে পদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় ভয়ে মুখ খোলেননি তারা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ঐ সহকর্মীর বাসায় গেলে স্থানীয় ছাত্র জনতার সন্দেহ হয়। এসময় ঐ বাসায় প্রবেশ করে আপত্তিকর অবস্থায় পায় তারা। পরে মোটা অংকের টাকায় রক্ষা হয় ঐ কর্মকর্তার।
নাম না প্রকাশ করার শর্থে বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানায়, ঐ নারীর স্বামী বিদেশ থাকায় চাকরীর আড়ালে বেপরোয়া জীবন যাপন করতেন। এরই সুযোগ নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদ তার সাথে সক্ষতা গড়ে তোলেন। যার বহিরপ্রকাশ স্থানীয় ছাত্র জনতার মাধ্যমে আজ জনগন যানতে পারলো। তবে সচেতন মহল দাবী করে বলেন, এ ঘটনায় কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে পারে। তারা বলেন, একজন সম্মানি ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা সন্দেহের সৃষ্টি করে। তিনি কোন সড়োযন্ত্রের স্বীকার কি না তা যথাযথভাবে ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে প্রথমে বন্ধ পাওয়া গেলেও পরে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার উত্তর দেন তিনি। তিনি বলেন, আমি কোন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত নয়। আমি সড়োযন্ত্রের স্বীকার হয়েছি পরে বিস্তারিত জানাবো।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় প্রতিবেদককে জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে তিনি জানান।