বাবা-মেয়ের বিয়ের নামে প্রতারণায় সর্বশান্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

প্রতারক বাবা ও মেয়ের প্রতারনায় পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন ঝিনাইদহের এক প্রবাসী যুবক। প্রতারণা করে প্রবাসীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। সর্বশান্ত প্রবাসী যুবক আকরাম এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ কর্মীদের কাছে। আকরাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে মালয়েশিয়া প্রবাসী। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে তার পক্ষ থেকে তার বোন বিথি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ঐ প্রবাসী জানান, দেড় বছর আগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে আমেনা খাতুনের (১৯) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন মোবাইলে কথা বলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই বিয়ে করার। পরে দুই পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় কাজির মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর সবকিছু ঠিকমতই চলছিলো। আকরাম আরো জানান, বিয়ের কিছুদিন পর আমি মালয়েশিয়া চলে যায়। এরপর আমার স্ত্রী তার সুবিধার কথা বলে বাবা মায়ের কাছেই থাকতে চায়। আমিও এবিষয়ে অমত করিনি। আমি মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার পর আমেনার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচের পাশাপাশি তার পরিবারের জন্যও বিভিন্ন সময় খরচ চাইতো । এর মাঝে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে সোনার গহনা, স্মার্ট ফোন, পায়ের নুপুরও পাঠিয়েছি। হঠাৎ আমেনা ও তার পিতা আনারুল ইসলাম প্রতারনার শুরে কথা বলতে থাকে। আমেনার বাবা ব্যবসা করার কথা বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে দফায় দফায় বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে সর্বমোট ৪ লাখ টাকা নেয় আমেনার বাবা । টাকা নেওয়ার পর থেকে আমার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে চাইলেও তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
আকরাম অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার সাথে বিয়ের পর থেকে প্রতারণা শুরু করেছে আমেনা ও তার পিতা। ওরা আমাকে সর্বশান্ত করবে প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। আমি যা আয় করেছি তাদের পেছনেই খরচ করেছি। এমন এক সময় আমার কাছে টাকা চেয়েছে তখন নিজের কাছে না থাকায় অন্যের কাছ থেকে ধার করে দিয়েছি। এখন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করছে না তারা। ফোন দিলে কখনো যদি রিসিভ করে শুধু গালি-গালাজ করে।
অভিযোগকারী আকরামের বোন বিথী খাতুন বলেন, আমরা ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি আনারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। অনেকে তাকে প্রতারক বলেই চেনে। তার আরও দুটি মেয়ে আছে তারাও প্রবাসীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি এর সুষ্ঠু বিচার আমরা পাবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমেনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার পিতা আনারুল ইসলাম বলেন, আপনি কার কাছ থেকে এসব শুনেছেন। যে বলেছে তার কাছে যান। আমার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছে তার কোন প্রমাণ আছে নাকি? এসব কথা বলে কোন লাভ হবে না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top