নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পারভীন জামান কল্পনার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তা ও ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন এই নেত্রী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকার এক দৈনিক পত্রিকাতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করা হয়েছে। নিউজে বলা হয়েছে যে, বিএনপি নেতার স্ত্রী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভীন জামান কল্পনা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ফরিদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর বিএনপির মিছিল মিটিং করেছে ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় জড়িত ছিল।
তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে স্বীকার করেছেন পারভীন জামান কল্পনা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার পক্ষে জনগনের ভালোবাসায ঈর্ষান্নিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মূলত ফরিদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে। তাছাড়া আমার বাবা ছিলেন একজন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম বোর্ডের সদস্য এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহচর। তাহলে আপনারাই বলেন আমি তার কন্যা হয়ে কিভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারি ? আমার মাথায় এগুলো আসে না। ফরিদের সঙ্গে যখন আমার বিয়ে হয় তখন ফরিদ নিজেও একজন সাবেক ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশে ফরিদসহ অনেক ছাত্রনেতাকে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়। আর ফরিদ যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বাধ্য হয়ে রাজনীতি শুরু করলো তখন ফরিদ ও আমার মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর যে সমস্ত লোকেরা আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তের মধ্যে ফেলাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার তথ্য যাচাই-বাছাই না করে আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির মতো এতবড় একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখেনি। অবশ্যই তিনি আমার বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
যেকারণে আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এ সমস্ত ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিলাম এবং থাকবো। জীবনের বাকিটা সময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে কাটাবো।