নিজস্ব প্রতিবেদক –
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্রদের দেওয়া সরকারি ভিজিএফের ৩৮ বস্তা চাল ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জব্দ করা হয়েছে। রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঐ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গোডাউন থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং পরিষদের গোডাউনে ৩৮ বস্তা চাল দেখতে পেয়ে তিনি গোডাউনটি সিলগালা করে রেখে আসেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন বাসির অভিযোগ, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তাহেরহুদা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬১২ জন হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৩৬ হাজার ১২০ কেজি ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্ধকৃত চাউল দুঃস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে বিতরণ করার কথা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ কার্ডধারীদের মাঝে চাউল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়া সহ প্রকৃত দরিদ্রদের কার্ড না দিয়ে নামে বেনামে তালিকা করে অতিরিক্ত চাউল অসৎ উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে লুকিয়ে রেখেছেন। যে কারণে প্রকৃত হতদরিদ্ররা এই চাউল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে সব চাল দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ৩৮ বস্তা চাল বিতরণ না করে গোপনে গোডাউনে রেখে দেন। তবে চেয়ারম্যান ঐ চাউল গোপনে বিক্রি করার কোন সুযোগ পাননি।
তারা বলেন, চেয়ারম্যানের যদি অসৎ উদ্দেশ্য না থাকতো তবে বিতরণের পর চাল বেঁচে যাওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানাননি কেনো।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, ঈদের আগে দুঃস্থ্যদের তালিকা করা হয়েছিল। তাদের অনেকে চাল নিয়েছেন আবার অনেকে চাল নিতে আসেনি। যে কারণে চাউল পরিষদের গোডাউনেই পড়ে আছে। যারা চাল নেননি তাদের তালিকা এবং মাস্টার রোল আছে। তালিকা অনুযায়ী সেই সব কার্ডধারীরা অনেকে চাল নিতে আসছে। তবে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এই চাল রাখা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানিয়েছেন , স্থানীয়দের মাধ্যমে মোবাইলে অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)কে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। ওই ইউনিয়নের গোডাউনে ৩৮ বস্তা চাউল পাওয়া গেছে। সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।