ষঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মোঃ আক্কাচ আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আক্কাচ আলী চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর উপজেলার হাসাদাহ বুনোসতিপাড়া এলাকার মৃত সাত্তারের বাড়িতে বসবাস করেন। অপরদিকে মামলার বাদী সিমা খাতুন (৩৮) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ শুকুর আলীর কন্যা এবং অভিযুক্ত আক্কাচ আলীর স্ত্রী।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ১ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই আক্কাচ আলী তার পরিবারের প্ররোচনায় পড়ে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সেকারণে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন আক্কাচ আলী। এক পর্যায় মেয়ের প্রতি এরকম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সিমার অসহায় বাবা আক্কাচ আলী কে ৫০ হাজার টাকা দেন। এর কিছু দিন পরে বাকি দেড় লক্ষ টাকা চেয়ে পুনরায় সিমার প্রতি অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। একপর্যায় সিমার দরিদ্র বাবা বাকি দেড় লক্ষ টাকা দিতে না পারায় চলতি বছরের ২০ জুলাই সিমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় আক্কাচ আলী।
এদিকে মেয়ের সংসার ঠিক রাখতে এবং জামাইকে তাদের দারিদ্রতার বিষয়ে বোঝানোর জন্য জামাই আক্কাচ আলী কে গত ৯ আগষ্ট তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন। কিন্তু কারো কথায় তিনি কর্ণপাত না করে বরং আরোও তাদের প্রতি রেগে চলে যায়। এসময় সিমা তার প্রাপ্য খোর পোষ দাবি করলে চিনি তাও দিতে অস্বীকার করে দ্রুত ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর থেকে আক্কাচ আলী সিমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং ঝিনাইদহের বিজ্ঞ আমলী ম্যাজিস্ট্রেট মহেশপুর আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। সিমা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতের কাছে বিচার দাবি করেন।
আইনজীবী আইনাল হক জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে দ্রুতই আসামিকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।