হরিণাকুণ্ডুতে ভর্তির নামে বানিজ্য,মানছে না সরকারি নির্দেশ

হরিণাকুণ্ডু(ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির নামে ইচ্ছেমতো ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একইভাবে ইচ্ছে মতো ফি নিচ্ছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার কোনও তোয়াক্কা না করেই চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি ও সেশন ফি এর নাম করে রমরমা বাণিজ্য করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জনের সৃষ্টি হলে, মঙ্গলবার (৩জানুয়ারি) সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার থেকে ১৫০০ শত’ করে টাকা চাওয়া হচ্ছে।পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একই ক্লাস ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ৫০০ শত হতে ৮ শত টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঐ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন ভর্তির বেশকিছু ছাত্রীর কাছ ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং ৭ম শ্রেণিতে কৃতকার্য হয়ে ৮ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ্য হওয়ার পরেও তার কাছ থেকে পুনঃভর্তির নাম করে ১ হাজার থেকে ৮০০ শত’করে টাকা নেওয়ার হয়েছে। এব্যাপারে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় পুনঃভর্তির নাম করে আমাদের কাছ থেকে ৮০০ শত থেকে ১০০০ হাজার টাকা নিয়েছে স্যারেরা। আমার বাবা খুব গরিব মানুষ পুনঃভর্তিতে আমরা এতো টাকা কিভাবে দেবো? শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান,তাদের বাচ্চাদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১ হাজার, ৮০০ এবং ৫০০ শত’ এরকম টাকা এবং পুনঃভর্তির নামে ৫শ’ হতে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসাইন বলেন,আসলে এ টাকা সেশন চার্জ হিসাবে নেওয়া হয়। এতো টাকা কেন নেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ের নানান ব্যায় এবং অনেক শিক্ষার্থী টাকা কম দেয় যেটা আমরা অন্যদের থেকে বেশি নিয়ে ঘাড়তি মেটাই বলে জানান। ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট বজলুর রহমান জানান, ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে পুনঃভর্তিতে এতো টাকা নেওয়ার কোনও কথা আমার জানা নেই । যেহেতু ঘটনাটি আমি এই মাত্র শুনলাম অবশ্যই তদন্তপূর্ববক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান,৬ষ্ঠ হতে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পুনঃভর্তির নাম করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন স্কুল নেয় তাহলে সেটা অনৈতিক এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ারও কোন বিধান নেই।মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সর্বচ্চ ৫০০টাকা করে নেওয়ার আদেশ আছে। সরকারি পরিপত্রের বাইরে এক টাকাও বেশী নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে তেমন কোনও অভিযোগে আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top