নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা মরহুম অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের মেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ জনগণের মাঝে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও তৃণমূলের অসহায় নেতৃবৃন্দদের খোঁজখবরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লার নেতা কর্মীদেরসহ সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণের মাঝে বর্তমান সময়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিয়য়ে অবগত করছেন। তৃণমূলের প্রকৃত আওয়ামী লীগের অসুস্থ নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়েও তাদের খোঁজ খবর নেওয়া সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অসহায় ও রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নেতাকর্মীদের একত্রিত করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মনে আস্তা করে নিচ্ছেন পারভিন জামান কল্পনা। এতে সাধারন মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বলছে, তার বাবা ছিল একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। তার বাবার জনপ্রিয়তা এখনো কেউ নিতে পারেনি। কিন্তু এবার আমরা তার বাবার জায়গায় পারভিন জামান কল্পনা আপাকে দেখতে চাই এমপি হিসেবে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়ন, কিন্তু আমাদের শৈলকুপা উপজেলায় উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। যে কারণে প্রয়াত কামরুজ্জামানের জনদরদী হওয়ার কথা স্মরণ করে, তার মেয়ে পারভীন জামান কল্পনাকেই আমরা এমপি হিসাবে দেখতে চাই। যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারভীন জামান কল্পনার মাধ্যমে আমাদের শৈলকুপা উপজেলাটি একটি স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করতে পারেন। এটি আমাদের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষের দাবী।
এ বিষয়ে পারভীন জামান কল্পনা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত দেশের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের শৈলকুপাতে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন শৈলকুপাতে সরকার দলীয় এমপি থাকার পরেও এখানকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি এটা সত্যিই দুঃখজনক।
শৈলকুপাতে এমনও কিছু গ্রাম এখনও আছে, যে গ্রামের রাস্তাঘাট এতটাই খারাপ যে, তারা যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা না পাওয়ায় শহরের সাথে যোগাযোগ রাখতে তাদের বড়ই কঠিন হয়ে পড়ে।
এছাড়াও তিনি শৈলকুপার রাজনীতির কথা তুলে ধরে বলেন, শৈলকুপার কিছু রাজনৈতিক নেতাদের কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগ এখন গ্রুপিং রাজনীতিতে পরিনত হয়েছে। যার ফলে ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হামলা মামলার শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন ত্যগী ও বুনিয়াদি নেতাকর্মীদের অবশ্যই মুল্যায়ন করতে হবে। নইলে তাদের দীর্ঘশ্বাস দলের জন্য শুভ হবেনা।
গণসংযোগ মুহুর্তে সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়ে তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে এবার নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমি বিপুল ভোটে শৈলকুপাতে বিজয়ী হবো এবং শৈলকুপা উপজেলাটিকেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে শৈলকুপাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপিং রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে না বলে বিশ্বাস রাখি।
গনসংযোগ মুহুর্তে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শৈলকুপার তৃনমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে নতুন রুপ দিয়ে, অপরাজনীতির ভুল ধারণা থেকে বের করে আনতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি শৈলকুপার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এসময়য় সাধারণ জনগণের কাছে তিনি দোয়া প্রার্থনা করেন।