হরিণাকুণ্ডুতে ১১ বছরের শিশু নির্যাতনের অভিযোগ

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে রাব্বুল হুসাইন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভাধীন মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে এগারো/বার বছরের এক শিশু নির্যাতনের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে।শিশুটি পৌর এলাকার হরিণাকুণ্ডু আলিম মাদ্রাসা পাড়ার মৃত্যু আনোয়ার হোসেনের ছেলে। বুধবার বেলা ১১টায় মাদ্রাসার দিকে যাওয়ার সময়ে তাকে গতি রোধ করে নানা কথা জিজ্ঞাসাবাদের কারণে জড়িয়ে পড়ে দ্বন্দে। একপর্যায়ে হাতে থাকা বাসের লাঠি,কাচি ও খেজুরের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন মিলন।

নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শীরা জানান,ছেলেটা পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো আর তখন মিলন তাকে বলে, এই তোব বাপের নাম কিরে? তখন সে বলে আপনি জানেন না আমার বাবার নাম? এ কথা বলাতে অভিযুক্ত মিলন বাচ্চাটাকে ধরে কাচির আচাড়ি ও খেজুরের বাগো দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে পরে পায়ের নিচে ফেলে পাড়িয়ে দলিয়ে নির্যাতন করে শিশুটিকে। তার আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র মিলন হোসেন এলাকায় বাচ্চা ছেলে-পিলেদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করে থাকে। বেশ কিছু শিশুরা তার নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক দেখে ঐসমস্থ শিশুরা এসে ক্যামেরার সামনে বলতে থাকে ঐ লোকটা খুব খারাপ। প্রতিবেশী মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী মইফুল জানান, তুফাজ্জেলের ছেলে মিলন একটা গুণ্ডা।এতিম শিফাত-কে বিনা অপরাধে মারপিট করেছে। বাচ্চাটাকে গোপনাগে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।

৭ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আবু আসাদ রুনু জানান আমি ঢাকাতে আছি তাই ওরা আমাকে মোবাইলে ঘটনাটি জানিয়েছে।তবে যায় হোক এতোটুকু বাচ্চাকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি।

শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মিলন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার বাড়িতে পাওয়া যায় নাই।পরবর্তীতে তথ্য জানতে তার স্ত্রী শারমিনের সাথে কথা বলিলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বলে উপর মহলের সাথে কথা বলে দেখবো যে,তাকে আপনাদের সাথে কথা বলতে দেওয়া যায় কি না। সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু মিলনের সাথে কথা বলতে না পারায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয় নি।

এদিকে হরিণাকুণ্ডু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের ছেলে শিফাত বেলা ১২:২০ মিনিটে ভর্তি হয়। তার বাম হাতের বাহুতে জখম,পিঠে ও মাথার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে রোগীর অবস্থা এখন ভালো আছে।

এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান লিটন জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ জুন থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top