ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের আলফালাহ্ হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় শম্পা খাতুন (২৪) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের হামদহ এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটিতে এমনই এক অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা জানান।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় পিত্তথলির পাথর অপারেশন করাতে এই হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন শম্পা খাতুন। তিনি সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কাম্তা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল হান্নানের স্ত্রী।
শম্পার সংসারে ৩ বছরের আরোও একটি সন্তান রয়েছে। মৃত মায়ের কাছে বসে থেকেও বাচ্চাটি হয়তো বুঝতে পারছেনা তার মা মারা গেছে। একথা বলে স্বজনরা কেঁদে ফেলেন।
স্বজনরা জানান, সর্বসাকুল্যে ৫০ হাজার টাকা কন্ট্রাক করে ডাক্তার জাহিদুর রহমান তাকে অপারেশন করেন। অপারেশনের পর গতকাল সোমবার থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রোগীর জ্ঞান ছিলো না। তাদের অভিযোগ জ্ঞান না ফেরা অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে স্বজনরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারের ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল চিকিৎসা দেওয়ার জন্য শম্পা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। তারা বলেন, শম্পা খাতুন গর্ভবতী ছিলেন। যেকারণে রোগীর জন্য এই মুহূর্তে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি।
এবিষয়ে ডাক্তার জাহিদ জানিয়েছেন, রোগিটি অপারেশন করার পর ব্রেন স্ট্রোক করেছিল। যে কারণে মঙ্গলবার ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ফরিদপুর যাওয়ার পথে কামারখালী এলাকার মধ্যে পৌঁছালে সে মারা যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন শূভ্রারানী দেবনাথ জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।