নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলায় পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ও ক্রয় করা জমি বুঝে নিতে চাওয়াই জমির মুল মালিকের উপর হামলা করেছে দখলদাররা। জীবন শংকায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় দুই ভাই বোন। জমি বুঝে পেতে ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।
জানা যায়, সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের মাগুরাপাড়ার মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে কাজী ফারুক ও তার ছোট মেয়ে কাজী শাহানাজ হরিনাকুন্ডুর দৌলতপুর ও সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের কয়েকটি স্থানে পৈত্রিক সুত্রে ১৪ বিঘা জমি পান। সম্প্রতি এই ১৪ বিঘা জমি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বুঝেও দিয়েছেন। কিন্তু ডাকবাংলা বাজারের কয়েকটি দোকান ও গোডাউন এখনও দখল করে রেখেছিলো ডাকবাংলার মাগুরা পাড়ার কাজী বিশারত, কাজী তরিকুল ও কাজী সিরাজ গংরা। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের আরেকটি নির্দেশে সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন জমি ও দোকানগুলো বুঝে দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয় ওই দখলদাররা। কয়েকদিন আগে ডাকবাংলায় নিজ বাড়িতে থাকার সময় কাজী ফারুক ও শাহানাজের উপর হামলা চালায় ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান, আব্দুল বারী, মোমিন ড্রাইভার, সালামসহ ঐ দখলদাররা। হামলাকারীরা ফারুক ও শাহনাজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, জমির কাগজপত্র, ব্যাংকের চেক, সার্টিফিকেট, স্ট্যাম্প সকল কাগজপত্র ও স্বর্ণাংকারসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেসময় তাদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন কাজী ফারুক। সেই মামলা বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। হামলার পর থেকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে বাবুল মাস্তানসহ দখলদাররা। জীবন ভয়ে ফারুক ও শাহানাজ ডাকবাংলা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
কাজী ফারুক বলেন, আমার নিজের জমিতে দোকান রয়েছে। সেই দোকান কাজী বিশারত, কাজী তরিকুল, কাজী সিরাজ এতদিন দখল করে রেখেছিল। চেয়ারম্যান আমার দোকান বুঝে দেওয়ার পর আমাদের উপর হামলা করা হচ্ছে। আমি ও আমার বোন শাহানাজ জীবন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের দোকানের উপর গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হামলার আশংকায় আমরা এলাকায় যেতে পারছি না।
কাজী শাহানাজ বলেন, আমাদের ডাকবাংলা থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। আমার আমাদের বাড়িতে যেতে পারছি না। আমাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।