নিজস্ব প্রতিবেদক-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান সাত মাস ধরে ইউনিয়নের কার্যকলাপসহ পরিষদের সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবুও পরিষদ থেকে এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর ফতেপুর ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় সাত মাস ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে ৫/৬টি সভা অতিবাহিত হলেও কোন সভায় তার উপস্থিতি নেই। কিন্তু কোন সদস্য পরপর ৩টি সভায় অনুপস্থিত থাকলে, পরিষদ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে আইন রয়েছে। তবে ইউপি সদস্য মিজান গত ৫/৬টি সভায় অনুপস্থিত থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর দাবি।
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার লান্টু বলেন, তার অনুপস্থিতিতে স্থানীয় মহিলা সদস্য কাজ করে দিচ্ছেন। এছাড়াও তার কাজে আমি নিজেও সহযোগিতা করছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করেছি। তিনি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হত্যা মামলার বাদীপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন। ইউপি সদস্য সচিব আব্দুল খালেক বলেন, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জেল হাজতে থাকার কারণে তিনি পরিষদের কোন সভায় হাজির হতে পারছেন না।
উল্লেখ্য- ইউপি সদস্য মিজান তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর সুলতান নামে একজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করে। ঐ ঘটনায় নিহতের ভাই ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে মিজান মেম্বারসহ ১০/১২ জনকে আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১(৮)২২।