ঝিনাইদহ ১ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে পারভেজ জামান পান্না

তুষার আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ-

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ১ আসন নিয়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিশেষ বিশ্লেষণ চলছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। ঝিনাইদহ ১ আসনটি জেলার শৈলকূপা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনটি বরাবরই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দখলে কিন্তু আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এখানে দলীয় গ্রুপিং রাজনীতির কারণে নিজেদের মধ্যেই দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগে আছে দীর্ঘদিন। আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কিন্তু উনি পরপর চারবার নির্বাচিত হলেও শৈলকুপা উপজেলায় লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া উপজেলার বেশিরভাগ রাস্তাঘাটের বেহাল দশা,নেই কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত, এবং নিজের বিশ্বস্ত লোক দিয়ে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে গ্রুপিং রাজনীতির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে রাখা সহ বিভিন্ন অভিযোগ বর্তমান সংসদ সদস্য জনাব জনাব আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন,নয় বছরের ৩৬ টা ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্যের রসানলে পড়ে। এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হাজার হাজার নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া। ঝিনাইদহ ১ আসন শৈলকুপা উপজেলাতে এত খারাপ পরিবেশের মধ্য দিয়েও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও তাদের খোঁজখবর এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রচার – প্রচারণা করে যাচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের একমাত্র ছেলে পারভেজ জামান পান্না।তিনি ১৯৭৯সালে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৮০সালে তৎকালীন ছাত্রদল ছাত্রশিবিরসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের নেতাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এই হামলায় ছাত্রলীগের তিন জন কে হত্যা করা হয় এবং তিনি গুরুতর আহত হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দিলেও দেশ ও দলের প্রতি মায়া একটুও কমেনি তিনি বিদেশে থেকেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং দেশে এসেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তিনি তার বাবার স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্তি হওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মী সহ স্থানীয় জনগণ জানান,অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান স্যার নিতান্ত একজন ভালো মানুষ ছিলেন তার সময়ে কোন আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেই তার কাছে যে গেছে সে কখনো খালি হাতে ফিরে আসেনি।তার সময়ে শৈলকূপ উপজেলা আওয়ামী লীগ ছিলেন একটি সুসংগঠিত সংগঠন এখানে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতো। বর্তমান শৈলকুপার এই নোংরামি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এর উত্তরসূরী তার ছেলেকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করি এই মানুষটিকে নমিনেশন দিলে শৈলকুপার উপজেলার রাজনীতি আবার প্রাণ ফিরে পাবে। পারভেজ জামান পান্নার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি নিজের আখের গোছাতে আসিনি।বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নমিনেশন দেয় আমি বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব এবং শৈলকূপা উপজেলাটি কে একটি স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করব এটি আমার প্রত্যয়। এখনো আমার শৈলকূপা উপজেলা আশপাশের উপজেলা থেকে পিছিয়ে আছে এবং এখানের নোংরা রাজনীতির কারণে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বসময় বঞ্চিত ও লাঞ্ছনা শিকার হচ্ছে আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে উপজেলা আওয়ামীলীগকে একটি সুসংগঠিত সংগঠন হিসাবে গড়ে তুলবো। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ১ আসনে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীদের মাঝে আলোচনা শীর্ষে আছে পারভেজ জামান পান্না।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top