হরিণাকুণ্ডুতে হাসপাতালে ঢুকে রক্তাক্ত যখম করলো প্রতিপক্ষকে

হরিণাকুণ্ডু ঝিনাইদহ থেকে রাব্বুল হুসাইন-

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের তিনজন নারী সহ মোট ৭জন আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার(১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ৩ নং তাহেরহুদা ইউনিয়নের খলিশাকুন্ডু গ্রামে। আহতরা হলেন ভরস আলী(৪৫),জবেদ আলী(৫০) উভয় পিং মৃত জোয়াদ আলী মন্ডল,আরিফুল ইসলাম(৩৩)পিং তক্কেল আলী, ওজলা বেগম(২৭) স্বামীঃ মারফত আলী,সুন্দরী খাতুন(৬৫) স্বামীঃমৃত তক্কেল আলী।অপরদিকে রবজেল হোসন (৪৫)
পিং মৃত আনসার আলী,আনজিরা খাতুন(৪০) স্বামীঃ রবজেল হোসেন। এদিকে আহত ভরস আলী ও তার ভাবী সুন্দরী খাতুন, এবং শরিফুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম জানান রবজেল হোসেন পক্ষের সাথে ১০ শতক জমি নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে মামলা চলার পর গত ৬ মাস পূর্বে আমরা আমাদের পক্ষে রায় পায়।আদালতের রায় পাওয়ার পর থেকে বারবার ওদের জমি ছাড়ার কথা বলে আসলেও কোনও কর্ণপাত করেনি তারা।

এ বিষয় নিয়ে কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে কথাকাটাকাটি চলছিলো। হটাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে তোয়াজদ্দিনের ছেলে জহুরুল, রবজেল হোসেনের ছেলে মুস্তাক,
আনসার আলীর ছেলে রবজেল হোসেন, ইয়াকুব মণ্ডলের ছেলে আলামিন,আজগর মণ্ডলের ছেলে নবী, আনসার মণ্ডলের ছেলে আফজেল, কুদ্দুস বুড়োর ছেলে লিটন এবং সাবেক ইউপি সদস্য অহেদুল ইসলাম অহিদসহ বেশ কয়েকজন আমাদের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে আমাদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি
সোটা দিয়ে আঘাত করে আহত করে। পরে এলাকাবাসী আমাদের হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

একই ঘটনাই হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাসপাতালে ঢুকে খুচিয়ে-খুচিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে প্রতিপক্ষকে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় জহুরুল এবং মুস্তাক পূণরায় হাসপাতালের চিকিৎসকের (কাইচতা) চুরি করে আমাদের উপর হামলা করে উপর্যুপরি খুচিয়ে-খুচিয়ে রক্তাক্ত যখম করেন বলেও জানান সুন্দরী খাতুন এবং ফরিদা বেগম। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতী চলছে বলেও জানাগেছে। ওরাই আমাদের লোকজনকে মারে জখম করেছে বলে উল্টা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের সাবেক এই ইউপি সদস্য অহেদুল ইসলাম অহেদ। এঘটনায় হঠাৎ উৎশৃংখল উপরিস্থিতর জন্য ধিক্কার জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তাহেরহুদা ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর রাশেদ।

এদিকে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন খলিশাকুন্ডু গ্রামে জমি জমা নিয়ে মারামারি করে কয়েকজন আহত হয়ে হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালে আসে, পরবর্তীতে সেখানেও একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিষটি শুনার পর-পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন গিয়েছিলো। তবে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top